শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে ১৫টি জেলে ট্রলারে হামলা চালিয়েছে জলদস্যুরা। এ সময় জলদস্যুরা এলোপাতাড়ি মারধর করে মাছ, নগদ টাকা ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ১৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
জলদস্যুদের হামলায় রফিক, মন্নান, আলম, মিরাজ, কালামসহ অন্তত ২০ জেলে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মল এলাকার মেঘনা নদীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মেল এলাকার মেঘনা নদীতে জাল ফেলে জেলেরা ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় জলদস্যু বাহিনী ঘুমন্ত জেলেদের ওপর হামলা চালায়। তারা ১৫টি ট্রলার থেকে মাছ, জাল, মোবাইল ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় উপজেলার মহিষখালী ও শশীগঞ্জ মাছ ঘাটের হান্নান মাঝি, লোকমান মাঝি, মিরাজ মাঝী, হাশেম মাঝি, আরিফ মাঝি, আলাউদ্দিন, হাসান মাঝি, সালাউদ্দিন মাঝি, ইউসুফ মাঝীসহ ১৫ জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহৃত জেলেদের পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
তজুমদ্দিন উপজেলার মহিষখালী ও শশীগঞ্জ মাছ ঘাটের জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে নদীতে মাছ কম, অন্যদিকে জ্বালানী তেলের দাম বেশি। তারওপর মেঘনা নদীতে জলদস্যুতা মরার ওপর খরার ঘাঁ হিসেবে দেখা দিয়েছে। কয়েকদিন পর পর মেঘনায় জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দু’-একজন জলদস্যুকে আটক করে হাজতে পাঠালেও তারা জামিনে বেরিয়ে আবারও ডাকাতি শুরু করে। তাই রাতের অরক্ষিত মেঘনায় কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের টহলের দাবি জানান জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের তজুমদ্দিন বিসিজি বেইজের পেটি অফিসার মতিউর রহমান জানান, জেলে অপহরণের ঘটনা তাদেরকে কেউ জানায়নি। তবে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে মাছঘাটে লোক পাঠানো হয়েছে। সঠিক তথ্য পেলে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
তজুমদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন নৌ-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আড়ৎদার ও জেলেদের মাধ্যমে অপহরণের খবর শুনেছেন। রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply